১৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার সকাল বেলা সংসদ ভবনের সাজসাজ রব চারদিকে। বিজয়ের উচ্ছাসের জোয়ার ছড়িয়ে পড়ছে চতুর্দিকে। পথশিশুরা তবে কেন বঞ্চিত হবে এই বিজয় উৎসব থেকে? তাদের মধ্যেও উচ্ছ্বাস, আনন্দ, আর খুশির ছোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছিল।
সমবেত জাতীয় সংগীত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারপর বিজয় দিবস সম্পর্কে আলোচনা হয়। সকালের আহার দিয়ে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘটে।
চারটি আলাদা দলে বিভক্ত হয়ে দ্বিতীয় পর্বের শুরু হয়। দ্বিতীয় পর্বে চারটি আলাদা পর্বের কাজ যথাক্রমে মানচিত্র রঙ, পাতা এবং ফুল দিয়ে পতাকা ডিজাইন, শহীদ মিনার তৈরী, পতাকা তৈরী করা। এটা শেষ হওয়ার পর শিশুদের জাদু দেখান উলফাত কবির। শিশুরা জাদু খুবই উপভোগ করে।
এদিকে শিশুদের বাছাইকৃত ছবি নিয়ে প্রদর্শনী চলছিলো সেখানে বেশ মানুষদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। পাশাপাশি যারা পথশিশুদের প্রতি যত্নশীল হতে চায় তাদের জন্য “বিজয় দিবসের অঙ্গীকার পথশিশুদের অবহেলা করবো না আর।” এই অঙ্গীকারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়।
প্রচার কাজও চলেছে …. তারপর পথশিশুদের অধিকার নিয়ে বর্ণাঢ্য এক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে দুপুরের আহার দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।
বিজয় দিবসে আমাদের প্রত্যাশা পথশিশু মুক্ত বাংলাদেশ রচনা। আমরা চাই কাঙ্খিত ক্ষুধা মুক্ত বাংলাদেশ। সহনশীলতা, ভালোবাসা, সম্প্রীতি, আদর, স্নেহ ছড়িয়ে দিয়ে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে একটি সুন্দর আগামী বাংলাদেশ গড়বোই আমরা।
আপনিও ভালোবাসার এই স্রোতে শামিল হোন।